নোয়াখালী বেগমগঞ্জে চৌমুহনী পৌর বিএনপি যুবদল ও ছাত্রদলের উদ্যোগে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
এ সময় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে একাত্তর টেলিভিশনের নোয়াখালী প্রতিনিধি মিজানুর রহমানে মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
বুধবাবার (জুন ১) সকাল সাড়ে ১১ টার সময় বেগমগঞ্জের বাংলাবাজারে এ ঘটনা ঘট।
জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমন জানান,পুর্বনিধারিত কর্মসুচি অনুযায়ী চৌমুহনী পৌর বিএনপি যুবদল ও ছাত্রদলের উদ্যোগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্যা বুলুর উপস্থিতে বেগমগঞ্জের জমিদাহাটে তাদের প্রথম কর্মসুচি সকাল ১০ টা থেকে শুরু করে পরে চৌমুহনী পুর্ব বাজার কাচারি মসজিদ ও চৌমুহনী রেল গেইটে খাবার বিতরণ করে। সেখানে ছাত্রলীগ যুবলীগ বাধা প্রদান করে।
এ সময় কয়েকটি ককটেল বিষ্ফোরন হয়। পরে বিএনপির নেতা-কর্মীরা চৌরাস্তায় খাবার বিতরণ করে বাংলাবাজারে গেলে সেখানে আগে থেকে অবস্থান নেওয়া যু্বলীগ ছাত্রলীগ তাদের বাধা দেয়। এ সময় তারা লাঠি সোটা হাতে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে ও বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরন ঘটে এবং বাড়ী ঘরে হামলা করে।
এ সময় হামলার ভিডিও ধারন করার সময় একাত্তর টিভির নোয়াখালী প্রতিনিধি মিজানুর রহমানের মোবাইল জোরপুর্বক ছিনিয়ে নেন গোপালপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক রকি ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তুহিনসহ স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা। মোবাইলে থাকা তাদের হামলার ভিডিও করার কারণে তারা শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়।
প্রায় দুই ঘন্টা পর মোবাইল টি ফেরত দিলেও ধারনকৃত সব ভিডিও ফুটেজ ডিলিট করে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে আহত সাংবাদিক মিজানুর রহমান নোয়াখালী টুয়েন্টিফোরকে বলেন,পেশাগত দায়িত্ব পালনে সময় মোবাইল ছিনিয়ে নেয়া ও শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করার খুবই দুঃখজনক।
তিনি আরও বলেন, এঘটনার সাথে যারা জড়িত তদন্ত করে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
এঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যম।
নোয়াখালী২৪ ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন