চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুনের ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯ জনে। যার মধ্যে ৯ জন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী।
মরদেহগুলো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রয়েছে। এছাড়া হাসপাতালটিতে ফায়ার সার্ভিসের অন্তত ২০ জনসহ দেড় শতাধিক লোক সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। নিখোঁজ রয়েছেন আরো অনেকে।নিহতদের মধ্যে ১৬ জনের পরিচয় মিলেছে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গুরুতর আহত সাতজনকে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হয়েছে।
রোবাবর (৫ জুন) সন্ধ্যার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ঢাকায় আনা হয়। এদের মধ্যে দুইজন ফায়ার ফাইটার ও পাঁচজন বেসামরিক লোক রয়েছেন।
এদিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ১৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ডা. সামন্ত লাল সেনের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ একটি টিম সোমবার চট্টগ্রাম যাচ্ছে।
শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে সীতাকুণ্ডস্থ বিএম কনটেইনার ডিপোতে একটি দাহ্য পদার্থের কনটেইনার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপরই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও পুরোপুরি নেভেনি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে ডিপো এলাকার পাঁচ কিলোমিটার প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। প্রায় ২৪ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও আগুন এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, আগুন নেভাতে সেখানে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট। এর পাশাপাশি সেনাবাহিনীর ২৫০ জন সদস্য সেখানে উদ্ধার অভিযানে কাজ করছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল সাইফুল আবেদীন বলেন, ‘কনটেইনারগুলো সরানো হচ্ছে, হয়তো কিচ্ছুক্ষণের মধ্যে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসবে। ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের যে সক্ষমতা রয়েছে তা দিয়ে রাত ১০টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হবে বলে আশা করছি। অন্ধকার হয়ে গেলে এখানে লাইটার দিয়ে আলোকিত করা হবে। আশা করছি এখান থেকে আর কোনো আহত বা নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটবে না।’
নোয়াখালী২৪ ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন